এক দশকের মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন হবে আফগানিস্তান: স্টেইন

সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটে বেশ উন্নতি করেছে আফগানিস্তান। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- ঈর্ষণীয় সাফল্য আফগানদের। এবার ইংল্যান্ডকে যেভাবে হারিয়েছে তারা, সেটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।
ইংলিশদের বিপক্ষে আফগানদের জয়কে কেউ আর অঘটন বলছে না। দেশটির ব্যাটাররা যেভাবে ব্যাট করেছে এবং চাপের মুখে যেভাবে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে, তাতে তাদেরকে অনেকেই তাদের মধ্যে দারুণ পেশাদারিত্বের মনোভাব দেখতে পাচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক পেস বোলিং কোচ ডেল স্টেইন বিশ্বাস করেন, এভাবে খেলে গেলে আগামী এক দশকের মধ্যে আইসিসির যে কোনো একটি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হবে আফগানিস্তান।
এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আফগান ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের একটি ছোট্ট পরামর্শ দিয়ে রেখেছেন স্টেইন। বলেছেন, ‘এ জন্য শুধু ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্সে আরও বেশি ধৈর্য ধরতে হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় হারের মধ্য দিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাত্রা শুরু হয় আফগানদের। পরের ম্যাচে এসেই ইবরাহিম জাদরানের রেকর্ড ১৭৭ রানের ওপর ভর করে ৩২৫ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নামা জো রুট ১২০ রান করার পরও ইংল্যান্ডকে ৩১৭ রানে আটকে ফেলে আফগানিস্তান। জয় পায় ৮ রানের ব্যবধানে।
আফগান ক্রিকেটারদের ধৈর্য অনেক কম। এ বিষয়টা উল্লেখ করে স্টেইন বলেন, ‘আগেরদিনে ফিরে গেলে দেখতে পাবো, অনেক ক্রিকেটার কাউন্টিতে খেলতে যেতো, কিংবা তারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে যেতো তাদের স্কিল এবং ধৈর্য বাড়াতে। আমি মনে করি, আমরা এখন এমন এক সময়ে বসবাস করছি, যখন মানুষের মধ্যে ধৈর্য অনেক কম। আমরা ইনস্টাগ্রামে সর্বোচ্চ ২ সেকেন্ড কোনো একটি স্টোরি দেখি। আফগানিস্তান ক্রিকেটারদেরকেও আমার তেমন মনে হয়, যখন তারা ক্রিকেট খেলতে নামে।’
‘আফগানিস্তান ক্রিকেটাররা চায় খুব দ্রুত কিছু করে ফেলতে। এমন একটি বল যেটাতে উইকেট পেতে পারে; কিন্তু তাদের ধৈর্য কম। উইকেট নেয়ার ধৈর্য নেই। একইরকম অবস্থা ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও। তারা খুব তাড়াহুড়ো করে। প্রথম ওভার থেকেই ব্যাট চালাতে চায়। প্রথম বলেই চায় ছক্কা মারতে। এভাবেই তারা খেলা চালিয়ে যেতে চায়।’
‘আমি দেখছি, তারা বিশ্বব্যাপি অনেক বেশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছে। এটা অবশ্যই অনেক ভালো। এটা তাদের পকেটে ভালো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে। তবে তাদেরকে অনেক বেশি চারদিনের ম্যাচও খেলতে হবে। তাহলে হয়তো তাদের ধৈর্য অনেক বাড়বে। কারণ, ওয়ানডে ক্রিকেট হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের একটি সংক্ষিপ্ততম ভার্সন।’
আইএইচএস/