এক ডিমের ওজনই ১৮০ গ্রাম, দেখতে ভিড়


নাটোরের লালপুরে ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম পেড়েছে একটি মুরগি, যা স্বাভাবিক ডিমের তুলনায় তিনগুণ বড়। উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার খামারে এমনই ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (৫ মার্চ) বড় আকৃতির ডিমটি দেখেন খামার মালিকের মা। পরে পরিবারে সদস্যদের মাধ্যমে তা এলাকায় সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

খামারি গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে নিজ বাড়িতে লেয়ার মুরগির একটি খামার গড়ে তোলেন। এক মাস ধরে মুরগিগুলো ডিম দিতে শুরু করেছে। বুধবার সকালে খামারে গিয়ে অস্বাভাবিক বড় একটি ডিম দেখতে পান তার মা। ঘটনাটি পরিবারের অন্য সদস্যরা দেখেও অবাক হন।

দুপুরের দিকে গোলাম কিবরিয়া ডিমটি সংগ্রহ করে বাড়িতে আনেন। ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্রে ওজন করে দেখতে পান, ডিমটির ওজন প্রায় ১৮০ গ্রাম; ফার্মের মুরগির ডিমের গড় ওজন প্রায় ৬০ গ্রাম। বিষয়টি ফোনে স্থানীয় পশুচিকিৎসককে জানান গোলাম কিবরিয়া।

ডিমটি দেখতে গিয়েছিলেন ভাটপাড়া গ্রামের অন্যতম প্রবীণ ব্যক্তি ইলিয়াস হোসেন (৮০)। তিনি জানান, ডিমের ওজন ও আকৃতি দেখে অবাক হয়েছেন। কারণ, তার জীবদ্দশায় এত বড় ডিম আগে কখনো দেখেননি। স্বাভাবিক ডিমের তুলনায় এই ডিম প্রায় চারগুণ বড়। ডিমটির গঠনও আলাদা। এর খোসা মসৃণ নয়, কিছুটা খড়খড়ে। তবে রং অন্য ডিমের মতোই।

তবে ডিমটি কোন মুরগি পেড়েছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি খামারের মালিক গোরাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, তার খামারে এই একটিমাত্র বড় আকারের ডিম পাওয়া গেছে। কোন মুরগি ডিমটি পেড়েছে তা নিশ্চিত নন তিনি।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এর আগে কখনো এত বড় ডিম দেখিনি বা শুনিওনি। এটি নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।

রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Exit mobile version