Facebook Bio Status

একীভূত ইউক্রেনীয় অঞ্চল নিয়ে কোনো আলোচনা নয়: রাশিয়া


২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভিযানের আগে ও পরে ইউক্রেনের যে পাঁচ অঞ্চল রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রুশ-মার্কিন বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে দিমিত্রি পেসকভ বলেন, যে অঞ্চলগুলো রাশিয়ান ফেডারেশনের অধীনস্থ হয়ে গেছে, যা আমাদের সংবিধানে লিপিবদ্ধ, সেগুলো আমাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এগুলো আলোচনার অযোগ্য।

২০১৪ সালে একটি সংক্ষিপ্ত সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে রাশিয়া। এরপর এক গণভোটের মাধ্যমে দ্বীপটি রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত হয়। কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলো একে ‘অবৈধ’ বলে অভিহিত করে আসছে।

এরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরু করার পর ইউক্রেনের আরও চার অঞ্চল- দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন দখল করে মস্কো। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে অঞ্চলগুলো রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত হয়।

বর্তমানে রুশ বাহিনী দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ এবং জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। মস্কো উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কিছু অংশও দখল করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের বরফ গলানোর বিষয়ে পেসকভ বলেন, কেউই আশা করছে না যে, সিদ্ধান্তগুলো সহজ ও দ্রুত হবে। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি রয়েছে, একে অপরের কথা শোনার ইচ্ছা রয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যেতে সক্ষম হব।

ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে বহুল আলোচিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন রুশ ও মার্কিন কূটনীতিকরা। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য মূলত উভয় দেশে দূতাবাস পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা।

বুধবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছি যে আমাদের কূটনীতিক ও উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা একটি বৈঠকে মিলিত হবেন এবং আগের মার্কিন প্রশাসনের বেআইনি কার্যক্রমের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যেসব বাধার কারণে রাশিয়ার দূতাবাসের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে ও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আমরা মস্কোতে মার্কিন দূতাবাসের কাজেও কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছি।

ল্যাভরভ আশা প্রকাশ করে বলেন, ইস্তাম্বুলের বৈঠকের পরই পরিষ্কার হবে যে, উভয় পক্ষ কত দ্রুত এবং কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, সব পক্ষের সম্মতিতে এটি সম্ভব হতে পারে। তবে রাশিয়ার অনুমোদন চাওয়াই হয়নি।

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তবে এই প্রক্রিয়ায় ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই আলোচনার অংশ হিসেবে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উভয় পক্ষ ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়।

তবে এ আলোচনায় ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত না করায় দেশটির নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আমাদের পেছনে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কিকে ‘একনায়ক’ বলে অভিহিত করেন ও ইউক্রেনকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করেন।

সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Leave a Reply

Back to top button