‘এই সঙ্কটময় মুহূর্তে এগিয়ে আসুন’

<p>রবিবারের নিউ ইয়র্ক টাইমসের পুরো এক পৃষ্ঠাজুড়ে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা। বিজ্ঞাপনে আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছেÑ তারা যেন শত শত কোটি দুস্থ মানুষের সহায়তায় অনুদান দেয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে-যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৈদেশিক সহায়তা তহবিলে ব্যাপক কাটছাঁট করেছে। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) জানিয়েছে, একটি বেসরকারি দাতার অর্থায়নে বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছে। এতে মার্কিন জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে এগিয়ে আসুন।’ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক এবং মানবিক সহায়তায় ৯০ শতাংশ হ্রাসের ঘোষণার পর, এই আহ্বান জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘এই সহায়তা কাটছাঁটের মারাত্মক প্রভাব তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।’ সংস্থাটি আরও জানায়, গত এক সপ্তাহে আইআরসি ৪৬টি সরকারি অনুদান বন্ধের নোটিশ পেয়েছে। এর ফলে অন্তত ২০ লাখ মানুষ জীবনরক্ষাকারী পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সুদান, নাইজেরিয়া ও আফগানিস্তান। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আমরা মার্কিন জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা এই সহায়তা কাটছাঁটের প্রভাব কমানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করে।’ এনজিওটি দাতাদেরকে ডোনার অ্যাডভাইজড ফান্ড, স্টক অ্যাকাউন্ট, ফাউন্ডেশন, চেক বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন প্রশাসন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য বৈদেশিক অনুদানের পুনর্মূল্যায়ন করছে। গত বৃহস্পতিবার, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি জীবনরক্ষাকারী প্রকল্পে অনুদান বন্ধের ঘোষণা দেয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র জানান, ইউএসএআইডি মোট ৬,২০০টি বহু বছরীয় অনুদান পর্যালোচনা করেছে এবং এর মধ্যে ৫,৮০০টি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,যার মূল্য ৫৪ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে সহায়তার পরিমাণ ৯২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া পররাষ্ট্র দপ্তর সম্পর্কিত বৈদেশিক সহায়তার অনুদান থেকেও ৪.৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩০ শতাংশ বাজেট কমানো হয়েছে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ আমেরিকান কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমে উৎপাদিত খাদ্য গুদামে অব্যবহৃত পড়ে থাকবে। প্রতিরোধযোগ্য রোগের কারণে প্রতিদিন মানুষের মৃত্যু ঘটবে। এটি একটি মানবিক বিপর্যয়—যারা ইতোমধ্যে সংকটে রয়েছে, তাদের জন্য এটি জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন।’ তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আশ্বস্ত করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সাহায্য পুরোপুরি বন্ধ করছে না। জরুরি জীবনরক্ষাকারী সহায়তার জন্য কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রয়টার্স।</p>
Source link