ময়মনসিংহ শহরকে একটি উন্নয়নশীল স্মার্ট নগরে রূপান্তরিত করতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। একই সাথে জেলা প্রশাসনকে দুর্নীতি মুক্ত, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করতে নিরলস ভূমিকা রয়েছে তার। তিনি ময়মনসিংহে যোগদানের পর থেকেই জেলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ঘুষ, মাদক ও দুর্নীতি, ভেজাল বিরোধীর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তিনি জেলার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বিরতিহীন কাজ করে যাচ্ছেন। জলাবদ্ধতা, পরিচ্ছন্নতা, যানজট মুক্ত শহর গড়তে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বেদখলীয় সরকারি জমি উদ্ধারেও যথেষ্ট তৎপর তিনি। ভূমিহীন জনসাধারণের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ঘরসহ অন্যান্য প্রকল্পগুলোও যথারীতি মনিটরিং করছেন। পাশাপাশি রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীলে আগাম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
অতীতের চেয়ে রাজস্ব আদায়েও তার চৌকস বুদ্ধিমত্তা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চলমান অর্থবছরে বিআইডব্লিউটিএ হতে ৯ কোটি ২০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৪ টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর হতে ১৫ কোটি ১ লাখ ২৭ হাজার ৯১৬ টাকা, জলমহাল হতে ৬৪ হাজার ৯৪ হাজার ১১ টাকা, বালুমহাল হতে ৭৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা, কর বর্হিভূত রাজস্ব খাত হতে ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ১২০ টাকা, রেকর্ডরুমের রাজস্ব হতে ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকাসহ মোট ২৬ কোটি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮১ টাকা আয় হয়েছে বলে জানান তিনি। সম্প্রতি এসব খাতসমূহ হতে আগত আয়ে তিনি বেশ নজরদারি করছেন। পাশপাশি ভূমিসেবা হয়রানি বন্ধেও তিনি বেশকিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্বারা কার্যক্রম পরিচালনা, কাঙ্খিত সময়ে ভূমিসেবা নিশ্চিত, অটোমেশন পদ্ধতির ব্যবহার, প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অভিযোগ বক্স স্থাপনসহ একাধিক কর্মসূচী হাতে নেন তিনি।
তিনি প্রশাসনে যোগদান করেন ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। এর আগে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব, বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং কিশোরগঞ্জ জেলা সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত ময়মনসিংহ গড়তে চাই। এতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আশা করছেন, একদিন ময়মনসিংহ জেলা হবে সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রার রোল মডেল। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। আসন্ন মাসকে সামনে রেখে ভেজাল বিরোধী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট পরিচালিত হচ্ছে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ও রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য সকলকে প্রতি আহ্বান জানান।