ঈদের আগেই সম্পন্ন হবে উত্তরখান-দক্ষিনখান সড়কের কার্পেটিং

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ব্রিগেড এর তত্বাবধানে ডিএনসিসির নতুন ১৮ ওয়ার্ডের উত্তরখান ও দক্ষিণখান থানা এলাকার সড়কের কার্পেটিং কাজ পরিদর্শন করেছেন ডিএনসিসির প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ এজাজ।
আজ সকাল ১০টায় উত্তরা আজমপুর রেলগেইট থেকে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শুরু করেন তিনি। সেখান থেকে উত্তরখান বড়বাগ আমতলা আর্মি ক্যাম্প ২৪ ব্রিগেড অফিসে তিনি প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘ সময় সমন্বয় সভা করেন।
সমন্বয় সভা শেষে দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের সামনে ঈদুল ফিতরের আগেই (ডিএনসিসি)আওতাধীন উত্তরখান ও দক্ষিণ খান এলাকার প্রধান দুইটি সড়কের কার্পেটিং কাজ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঈদের আগে রমজানের মধ্যেই উত্তরখান ও দক্ষিণ খান এলাকার প্রধান দুটি সড়কের কার্পেটিং এর কাজ শেষ হবে। সে সাথে যানবাহন ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে । সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরখান ও দক্ষিনখান এলাকার প্রধান দুটি সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানান,এটি রমজান মাসেই শেষ হবে।
এ সময় সড়কের কার্পেটিং এর কাজ পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এর সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন,ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খয়বর রহমান এবং মুহাম্মদ জুলকার নায়ন প্রমুখ।
এখানকার জনদূর্ভোগ কবে নাগাদ শেষ হবে এ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ বলেন, ‘এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জলাধার ভরাট করে বাড়িগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা নেই। তাই এলাকার উন্নয়নে দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জের একটি হলো ড্রেনেজ ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক, প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ ও খালগুলো উদ্ধার করা।
আর দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ হলো- ড্যাপে এই জায়গায় যে নাগরিক সুবিধাদি রেখেছে যেমন মাঠ, পার্ক, হাসপাতাল সেগুলোর ব্যবস্থা করা।
তিনি আরো বলেন, নতুন ওয়ার্ড এলাকায় যেভাবে মাঠ খাল দখল হচ্ছে এগুলো বন্ধে রাজউক, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যৌথভাবে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব।
এ ছাড়াও আগামী সপ্তাহে ৯ মার্চ ভাটারা সূতিভোলা খাল দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসময় তিনি বলেন,
আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরদিনই জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাঁচকুড়ায় দেড় একর উদ্ধার করেছি, যেখানে মাঠ ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, ডেসকো ও ওয়াসা যখন তখন রাস্তা কাটে। তারা এখনো রাস্তা কাটার অনুমতি চেয়ে ডিএনসিসির কাছে আবেদন করে বসে আছে।
আমরা আজকে সমন্বয় সভায় সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বর্ষায় নতুন ভাবে কোন রাস্তা কাটতে দেওয়া হবে না। বর্ষায় যেন জনগণের ভোগান্তি না হয়, সে জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সব শেষে সাংবাদিকদের নিয়ে তিনি উত্তরখান হযরত শাহ কবির (রহ্) মাজার চৌরাস্তা রোড থেকে বালুমাঠ সড়কের চলমান কার্পেটিং এর কাজ পরিদর্শন করেন।