ইসলামি সংস্কৃতি বিকাশে সরকার বহুমাত্রিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইসলামি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ চর্চা ও বিকাশে বর্তমান সরকার বহুমাত্রিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সে লক্ষ্যে সারাদেশে ইসলামি মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে হবে। এ দেশে বিগত সময়ে ইসলামি সংস্কৃতির চর্চাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হতো। ধর্মকে কেন্দ্র করে একটি রাষ্ট্রে কোনো ধরনের বৈষম্য চলতে দেওয়া যাবে না। আজকের এই শিশু-কিশোরই আগামী দিনে জাতির কর্ণধার। তারাই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী দিনের তরুণরা এ দেশের চেহারা বদলে দেবে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) মিলনায়তনে ইফা আয়োজিত জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৫ সালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সংস্কৃতির পরিধি অনেক বিস্তৃত। জনগণের বিশ্বাস, রাজনীতি, জীবন-জীবিকা, পোষাক, আচরণ, আদব-কায়দা এ সবকিছু মিলেই একটি দেশের সংস্কৃতি। মসজিদের মিনার, মায়ের মুখের ভাষা এ সবই সংস্কৃতির অংশ।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতার আদলে শিগগির ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় হিফজ ও সিরাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। সৌদি আরবের মত সিরাত পুরস্কার প্রবর্তনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রতি বছর আমাদের প্রতিযোগীরা কুরআন তিলাওয়াত, হিফজ, সিরাত, কিরাতসহ নানা ইসলামি প্রতিযোগিতায় সাফল্য বয়ে আনে। তাদেরকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকেই বাছাই ও মনোনয়ন দেওয়া হয়ে থাকে।
আমাদের দেশের মেয়েরা সব স্থানে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীরা আজ উচ্চপদে আসীন। তাই আমাদের মা-বোনদের ইসলামি সংস্কৃতিতে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে তাদের মাধ্যমে সমাজ ব্যবস্থা বদলে যাবে।
এমওএস/এএমএ/এএসএম