ইসরায়েল আরও ছয় সপ্তাহ যুদ্ধবিরতি বাড়াতে চায়

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও ছয় সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মিসরের কায়রোতে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে উপস্থিত হলেও, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে এবং স্থায়ী শান্তির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চাইলেও হামাস দ্বিতীয় ধাপের স্থায়ী শান্তি চুক্তির প্রতি জোর দিচ্ছে। মিসরের দুটি নিরাপত্তা সূত্র বলছে, হামাস যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করতে চাইছে না, বরং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা করতে চাইছে।
চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শনিবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন কোনো চুক্তি না হলে, যুদ্ধের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের সমাধানে মিসর ও কাতার মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করছে, যাতে উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে দ্রুত প্রবেশ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর পাশাপাশি বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছে। ইসরায়েল প্রতি সপ্তাহে তিনজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে চায়, যা যুদ্ধের অবসানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
এখনো পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ইসরায়েল ও হামাসের অবস্থান ভিন্ন হওয়ায় চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর ভূমিকা আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে সংঘাত নিরসনে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স