Facebook Bio Status

ইফতারে যা যা খাবেন না


সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে কিছু খাবার আছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং রোজার উদ্দেশ্যকেও ব্যাহত করতে পারে। তাই ইফতারে এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। জেনে নিন ইফতারে কোন খাবারগুলো না খাওয়া উচিত-

১. অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার
ইফতারে অনেকেই পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, সিঙারা জাতীয় খাবার খান। এ ধরনের খাবার অতিরিক্ত তেলে ভাজা হয়, যা হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া, এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর।

২. মিষ্টি ও কৃত্রিম শরবত
ইফতারে অনেকেই চিনি বা কৃত্রিম রং মিশ্রিত শরবত খান। এ ধরনের শরবত রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় এবং পরে তা দ্রুত কমিয়ে আনে, যা ষ্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি করে। এছাড়া, কৃত্রিম রং ও প্রিজারভেটিভও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বরং প্রাকৃতিক উপাদান যেমন তোকমা, লেবু বা ফলের রস পান করা ভালো।

৩. প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার
ইফতারে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন চিপস, নুডলস, বা প্যাকেটজাত জুস এড়ানো উচিত। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে লবণ, চিনি এবং কৃত্রিম উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো খেলে পেট ভরা মনে হলেও আসলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়।

৪. অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
ইফতারে চটপটি, নিমকি বা অন্যান্য লবণযুক্ত স্ন্যাকস খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। অতিরিক্ত লবণ শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট করে এবং পানির তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া, এটি উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

৫. ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়
ইফতারে চা, কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত কোনো পানীয় খাওয়া উচিত নয়। ক্যাফেইন শরীর থেকে পানি শুষে নেয়, যা রোজার সময় ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। এছাড়া, এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা রমজান মাসে সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৬. অতিরিক্ত মিষ্টি ও চর্বিযুক্ত খাবার
ইফতারে জিলাপি, হালুয়া বা অন্যান্য মিষ্টি খাবার অনেকেই পছন্দ করেন। তবে এগুলো অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

৭. অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয়
ইফতারে ঠান্ডা কোমল পানীয় বা আইসড ড্রিংকস পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া, এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে।

ইফতারের সময় স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত, যা শরীরকে সুস্থ রাখবে এবং রোজার উদ্দেশ্যকেও সম্মান করবে। অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি, লবণযুক্ত স্ন্যাকস এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। বরং ফলমূল, খেজুর, সবজি, ডাল এবং প্রাকৃতিক শরবতের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতে করে রমজান মাসে আপনি সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকবেন।

এএমপি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Back to top button