ইতালিতে সঞ্চারী সংগীতায়নের বহুজাতিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা


ইতালির রোমে বহুজাতিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সঞ্চারী সংগীতায়ন এই আয়োজন করে। প্রতি বছরের মতো এবারও সঞ্চারী সংগীতায়ন একটি ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করেছেন গত কয়েক বছর ধরে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় নৃত্য, গান ও কবিতা আবৃত্তি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে শিশু-কিশোর আবাল-বৃদ্ধের মনোমুগ্ধকর সংগীত উপস্থাপন বহুজাতিক মানুষের অনন্য আনন্দ দেয় আগত অতিথিসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক পিয়াসীদের। কখনও নৃত্য কখনও গান এভাবেই চলতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানুষের মাঝে বিরক্ত দূরের কথা খুব মনোনিবেশসহ অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত উপভোগ করেন আগত অতিথিরা। সঞ্চারী সংগীতায়নের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক সুস্মিতা সুলতানা ও সানজিদা আক্তারের পরিচালনায় সংগীত পরিবেশন করেন, সঞ্চারী সংগীতায়নের উদীয়মান শিক্ষার্থীরা ইতালীয় নাগরিক, ল্যাটিন আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ সংগীত পরিবেশন করেন।

এ সময় ইতালির কয়েকজন নাগরিক মহান একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য বাংলা ইতালিয়ান ও ইংরেজিতে তুলে ধরে কয়েকজন ইতালীয় নাগরিক বাংলায় গান পরিবেশন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু মুসলমান এ শিরোনামে গানটি তারা গাওয়ার পর সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী একটি বাংলা গান পরিবেশন করলে রীতিমতো সাড়া জাগায় অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তোলে।

অনুষ্ঠানে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, অভিবাসন পরামর্শ সংগঠনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। আগত অতিথিদের ধন্যবাদ দেন সঞ্চারীর শিক্ষক সুস্মিতা সুলতানা অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ইফতেখার আলম প্রমুখ।

রোমে একমাত্র সাংস্কৃতিক সংগঠন সঞ্চারী সংগীতায়ন দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে ইতালিতে বেড়ে উঠা শিশু-কিশোরদের বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি দেশি-বিদেশিদের মাঝে তুলে ধরে দেশকে উপস্থাপন করে আসছেন।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি,
স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা
পাঠানোর ঠিকানা –
[email protected]



Source link

Exit mobile version