ইট ভাটা চালু রাখতে মেহেরপুরে সড়ক অবরোধ, ইউএনও অফিস ঘেরাও

ইট ভাটার কার্যক্রম এ বছর চালু রাখার দাবিতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ এবং গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করেছেন মালিক ও শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে গাংনী উপজেলার অর্ধশতাধিক ইট ভাটার মালিক-শ্রমিক জড়ো হয়ে দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠান। একই সময় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন মুজিবনগর উপজেলার ভাটা মালিক ও শ্রমিকরা।
ইট ভাটায় ব্যবহৃত স্যালো ইঞ্জিন চালিত যানবাহন নিয়ে হাজার হাজার শ্রমিক জড়ো হন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের সড়কে। এসময় যানবাহন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ করেন শ্রমিকরা। একইসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে দাবি উত্থাপন করেন তারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা যাবত কর্মসূচি পালন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৬ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পাঠান।
ইট ভাটা শ্রমিক আরিফুল ইসলাম জানান, আমার পরিবারে ছয়জন সদস্য। আমি ইট ভাটায় কাজ করে কোনো রকম সংসার চালাই। ইটের এখন ভরা মৌসুম। কিন্তু ইট ভাটা বন্ধ। বর্তমানে সংসার নিয়ে বিপাকে রয়েছি। তাই আমি বলবো, ইটের এই ভরা মৌসুমে সরকার ভাটা চালু রেখে আমাদের প্রতি সদয় হবেন।
ইট ভাটা মালিক এনামুল হক বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আমাদের ক্ষতি ও শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে সরকার আমাদের এই ইটের ভরা মৌসুমে ইট প্রস্তুতের অনুমতি দেবেন।
মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন জানান, বর্তমানে ইট ভাটায় শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না। যার কারণে এলাকায় চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমার দাবি শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করেন। তা না হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি ঘটবে।
অবাধে ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধে হাইকোর্টোর নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন। আইন অনুযায়ী পুরাতন ইট ভাটার প্রায় ৯৯ ভাগই অবৈধ। ফলে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েক লাখ শ্রমিক বেকার হচ্ছে এবং মালিকরা বিনিয়োগ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই চলতি ইট পোড়ানো মৌসুম পর্যন্ত ইট ভাটা চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন ইট ভাটা মালিকরা।
আসিফ ইকবাল/এফএ/জিকেএস