আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাই গ্রেফতার

মাদারীপুরের কালকিনিতে তিন খুনের ঘটনাসহ একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও বাঁশগাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তার ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা রাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদের বিরদ্ধে তিন খুনসহ বোমা বিস্ফোরণ ও মারামারিসহ ২০টি পৃথক মামলা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান।
পুলিশ জানান, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আতাউর রহমান আক্তার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার এবং সহযোগী সিরাজ চৌকিদার নিহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকজনের পা কেটে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা ও বোমা বিস্ফোরণ, চাঁদাবাজি, মারামারি একাধিক মামলা রয়েছে। তবে তিন খুনের ঘটনায় উচ্চ আদালতে সাময়িক জামিনে রয়েছে। কিন্তু অন্য মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান জানান, বাঁশগাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বিরদ্ধে ৭টি ও তার ছোট ভাই রাজনের বিরদ্ধে ১৩টি পৃথক মামলা রয়েছে। ফলে এরা মাদারীপুর আদালতে কোনো একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা কোনো মামলায় গ্রেফতার হয়েছে, সেটা প্রয়োজনীয় সব মামলা যাচাই করে আদালতে পাঠানো হবে। তবে এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় কোনো না কোনো মামলায় গ্রেফতার হবেই।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের কালকিনিতে চাঞ্চল্যকর তিন খুন মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাকি এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মোস্তাফিজুর রহমান সুমন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য বলে জানা যায়। ‘সুমন বাহিনী’ নামে তার এলাকায় একটি বাহিনী রয়েছে।