
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন রাষ্ট্রীয়ভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে লিগ্যাল নোটিশ (আইনি নোটিশ) পাঠিয়েছেন কুমিল্লার এক আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, ভূমি মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়সহ ১০টি কমিশন, মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরকে ডাকযোগে এবং ইমেইলে এ লিগ্যাল নোটিশ (আইনি নোটিশ) পাঠান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মাযহারী নামের কুমিল্লার এক আইনজীবী। তিনি কুমিল্লা নগরীর নজরুল অ্যাভিনিউ এলাকার বাসিন্দা ও সুপ্রীম কোর্ট এবং কুমিল্লা জজকোর্টের আইনজীবী।
নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন তিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করে জড়িতদের রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণাসহ যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে নাম মাত্র নির্বাচন দেখিয়ে বারবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জবাবহীনতার সংস্কৃতি চালু রাখে। এতে করে ব্যাপক দুর্নীতি রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র কাঠামোকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
আইনি নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, তথাকথিত নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ এবং প্রশাসনিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা, সুবিধাভোগী বিভিন্ন মহল ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
উল্লেখিত তিনটি জাতীয় নির্বাচন যে কারণে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে সেই বিষয়ে আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু নির্বাচন সমূহের ভিত্তি ছিল বেআইনি, অগণতান্ত্রিক এবং অনৈতিক, সেহেতু আইনের সুপ্রসিদ্ধ নীতি VOID AB INITIO আরোপক্রমে The Representation of the People Order, 1972 (P. O. No. 155 of 1972) এর সংশ্লিষ্ট নীতিমালাসহ প্রযোজ্য অন্যান্য আইন এবং DOCTRINE OF NECESSITY অনুসারে নির্বাচন সমূহ অবৈধ ঘোষণা করা ও সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন আইনসিদ্ধ হবে।
আইনি নোটিশ প্রেরনকারী আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী বলেন, ‘একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি এ নোটিশ পাঠিয়েছি। নির্বাচনের নামে আমার-আপনার, দেশের সকল জনগণের টাকা অপচয় করা হয়েছে। যা একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে আমাকে নাড়া দিয়েছে। তাছাড়া তিনটি নির্বাচনে আমি একটা ভোটও দিতে পারিনি। যা আমার নাগরিক অধিকারকে হরণ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে উল্লেখিত বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধানদের নামে মামলা দায়ের করা হবে। আমি সেই প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছি।’