
সংযুক্ত আরব আমিরাত ফেরত ১৮৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, পুনর্বাসন এবং ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকা-ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ নোটিশ দেন।
গতকাল শনিবার এ আইনজীবী জানান, গত বৃহস্পতিবার ডাকযোগে ও ইমেইলে নোটিশটি পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে নোটিশের ‘প্রাপক’ করা হয়েছে। প্রবাসীদের ব্যবসায়িক ও আইনি সহায়তা সংস্থা (ইবলাত)র চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম এবং মহাসচিব খালেদ সাইফুল্যাহর পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ নোটিশ দেন।
নোটিশে বলা হয়, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেরত আসা ১৮৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, পুনর্বাসন করার পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকা-ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবী আল সদর জেলে এবং সিআইবি হেফাজতে এখনো যেসব বাংলাদেশি আটক আছেন তাদের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি গত ১৯ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিছিলের মামলাটি প্রত্যাহার বা বাতিলের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক দেশের প্রবাসীদের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরাও রেমিট্যান্স বন্ধে ব্যাপক সাড়া দেয়। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কঠোর আইন সম্পর্কে জানা থাকার পরও বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদে কিছু প্রবাসী ১৯ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে। মিছিলকে কেন্দ্র করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২১ জুলাই সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে বিশেষ কোর্ট বসিয়ে ৩ জনকে যাবজ্জীবন এবং অন্যদের ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। এই ঘটনা বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক আলোচিত হয়।
তখন গ্রেফতার বাংলাদেশীদের বিষয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার সরকার কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তারা কোনো আইনি সহায়তা প্রদান করেনি। বরং তৎকালীন দুবাইয়ের কনস্যাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন আটকদের ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারকে ক্ষেপিয়ে তোলে।