আফগানিস্তানকে ডুবিয়ে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা

ভিয়ান মুল্ডারের বলে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়লেন আদিল রাশিদ। ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে গেল দুইশর আগেই। এতে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই নিশ্চিত হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি-ফাইনালের টিকেট। প্রায় অসম্ভব সমীকরণে এই ম্যাচে তাকিয়ে থাকা আফগানিস্তান বিদায় নিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে। গতকাল করাচিতে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৮.২ ওভারে ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে আগের দুই ম্যাচে হারা ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে অল্পে থামাতে মুল্ডার ২৫ রানে ও আরেক পেসার মার্কো ইয়ানসেন ৩৯ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। ১০ ওভারে ৩৫ রানে ২ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনার কেশাভ মহারাজ।
জবাব দিতে নেমে রসি ভেন ডার ডুসান ও হেনরিক ক্লাসেনর ফিফটিতে ভর করে ২৯.১ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৩ উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা। এই ম্যাচ হারলেও রান রেটে এগিয়ে থাকায় প্রথম ইনিংস শেষেই সেমির টিকিট নিশ্চিত হয়ে যায় এইডেন মার্করামের দলের। আগে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড অন্তত ২০৭ রানের ব্যবধানে জিতলেই কেবল দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে যেতে পারত আফগানিস্তান। সেখানে ইংলিশদের পুঁজিই ছিল ১৭৯ রানের! ম্যাচটি জিতে ৫ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে গ্রুপ সেরা হয়েই সেমিতে নাম লেখালো চোকার দলটি। কোনো ম্যাচে না হারা দক্ষিণ আফ্রিকার ঝুলিতে ৫ পয়েন্ট। আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৩। ৪ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপ থেকে আগের দিন সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ডের ঝুলি শূন্য!
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি অল্প পুঁজিতে গুটিয়ে যাওয়ার পেছনে ইংলিশ ব্যাটারদের দায় কম নয়। তাদের পক্ষে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন রুট। আরও পাঁচজন দুই অঙ্ক ছুঁলেও ত্রিশের ঘরে যেতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। প্রোটিয়াদের পক্ষে ২৫ রানে ৩ উইকেট পান পেস বোলিং অলরাউন্ডার নেন মুল্ডার। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে পেসার ইয়ানসেনের খরচা ৩৯ রান। বাঁহাতি স্পিনার মহারাজ ৩৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট ঝুলিতে ঢোকান। একটি করে উইকেট শিকার করেন লুঙ্গি এনগিডি ও কাগিসো রাবাদা। ফিল্ডিংয়েও দলটি ছিল অসাধারণ। দারুণ ক্যাচ নিয়ে নজর কাড়েন ইয়ানসেন ও এনগিডি।
সপ্তম ওভারে ৩৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট, জেমি স্মিথ ও বেন ডাকেটকে একাই ছাঁটেন ইয়ানসেন। এরপর রুট ও ব্রুকের চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৬১ বলে ৬২ রান। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন মহারাজ। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইয়ানসেনের অবিশ্বাস্য ক্যাচে থামেন ব্রুক। এরপর ফের টপাটপ উইকেট উইকেট তুলে নিতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। রুটকে বোল্ড করেন মুল্ডার। মহারাজকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন লিয়াম লিভিংস্টোন। রাবাদার বলে জেমি ওভারটন ফেরেন এনগিডির নজরকাড়া ক্যাচে। ১২৯ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ায় দেড়শর নিচে থামার শঙ্কা জাগে ইংলিশদের। তারা আরও কিছুদূর যায় বাটলার ও জোফরা আর্চারের কল্যাণে। দুজন অষ্টম উইকেট জুটিতে আনেন ৫৭ বলে ৪২ রান।
আর্চারকে সাজঘরে পাঠান মুল্ডার। বাটলারের হন্তারক এনগিডি। তিনি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নেমে ৪৩ বলে ২১ রানে আউট হন। তারপর মুল্ডারের বলে আদিল রশিদ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে থামে ইংলিশদের দুর্দশা। তখনও বাকি ছিল ইনিংসের ৭০ বল।

Source link

Exit mobile version