আফগানদের অপেক্ষায় রেখে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

ছবি: আফগানস্তান ক্রিকেট বোর্ড/ফেসবুক
লম্বা সময় অপেক্ষা করেও পারা গেল না বৃষ্টির সঙ্গে। পরিত্যক্ত হলো আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। তাতে আফগানদের অপেক্ষায় রেখে চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুক্রবার ২৭৪ রান তাড়ায় ১২.৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান যখন ১ উইকেটে ১০৯, তখন হানা দেয় ঝুম বৃষ্টি। পরে বৃষ্টি থামলেও বাজে আউটফিল্ডের কারণে খেলা শুরু করা সম্ভব নয় দেখে ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার আগের ম্যাচটিও বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে দুই দলই পেয়েছে এক পয়েন্ট করে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ পয়েন্ট করে নিয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দুইয়ে, তিনে আফগানিস্তান।
টানা দুই হারে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শনিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই ম্যাচে ইংল্যান্ড অনেক বড় ব্যবধানে জিতলেই কেবল নেট রানরেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে যেতে পারবে আফগানিস্তান। আফগানদের বিদায়ের সম্ভাবনাই তাই বেশি।
বৃষ্টির সম্ভাবনা মাথায় রেখেই ঝড়ো শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ১৫ বলে ২০ রান করে ম্যাথিউ শর্ট আউট হওয়ার সময় সাড়ে চার ওভারেই ৪৪ রান তুলে ফেলে অজিরা। এরপর ট্রাভিস হেড ৪০ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রানে এবং স্টিভেন স্মিথ ২২ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ঠিক ৫০ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ২৭৩ রান জমা করে আফগানরা।
৯৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন তিনে নামা সেদিকুল্লাহ আতাল। আর ৬ নম্বরে নেমে ৬৩ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
এদিন অস্ট্রেলিয়া ‘মি. এক্সট্রা’ থেকে দিয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এক ম্যাচে যা তাদের সর্বোচ্চ।
১ রানের জন্য ৩৬ বছর আগের রেকর্ডটা স্পর্শ করা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ অতিরিক্ত দেওয়ার রেকর্ড ৩৮ রান, ১৯৮৯ সালে ওয়াকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
দুইশ’ রানের আগে ৭ উইকেট হারানো আফগানিস্তান অষ্টম উইকেট হারায় ২৩৫ রানে। এরপরও সংগ্রহ আড়াইশ পেরিয়ে যায় ওমরজাইয়ের কল্যাণে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দলের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেওয়ার মূল কারিগর তিনি।
অষ্টম উইকেটে রশিদ খানকে নিয়ে ৩৩ বলে ৩৬ এবং নবম উইকেটে নূর আহমেদকি নিয়ে ২৫ বলে মহামূল্যবান ৩৭ রান যোগ করেন ওমরজাই।
তবে প্রথম ওভারেই উইকেট হারানোর পর তারা লড়াকু সংগ্রহের ভিত পায় দ্বিতীয় ও চতুর্থ উইকেট জুটিতে। দুই জুটিতেই নেতৃত্ব দেন আতাল। প্রথমে আগের ম্যাচের নায়ক ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে গড়েন ৭৬ বলে ৬৭ রানের জুটি। পরের ৭৮ বলে ৬৮ রানের জুটিতে তিনি পাশে পান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে।
ইব্রাহিমের (২৮ বলে ২২) মতো শাহিদিও (৪৯ বলে ২০) আউট হন থিতু হয়ে। মাঝে রহমত শাহও (২১ বলে ১২) ইনিংস টেনে লম্বা করতে পারেননি।
৪৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার বেন ডোয়ার্শিস। শেষ ওভারেই তিনি নেন ২ উইকেট। দুটি করে শিকার ধরেন স্পেন্সর জনসন ও অ্যাডাম জাম্পাও। একটি করে নেন নাথান এলিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। উইকেট না পেলেও ৭ ওভারে স্রেফ ২১ রান দেন ম্যাথিউ শর্ট।