আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে মাউশিতে কর্মকর্তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন

প্রশাসন ক্যাডারের মাধ্যমে বৈষম্যমূলকভাবে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদ ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে গতকাল রোববার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন বিসিএসের ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে কর্মকর্তাদের অবস্থানও নিতে দেখা গেছে। কর্মকর্তাদের সংখ্যার দিক দিয়ে অন্যতম বড় ক্যাডার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে তাদের কাজগুলো পরিবীক্ষণ করা হয়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে এই অধিদপ্তরের প্রাঙ্গণে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা অবস্থান নেন। এতে শিক্ষা ক্যাডারের শীর্ষ পদের কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মুহাম্মদ আজাদ খানও অংশ নেন।
প্রফেসর মুহাম্মদ আজাদ খান এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ২৫ ক্যাডারের কিছু বিষয় নিয়ে সম্মিলিতভাবে এখানে দাঁড়িয়েছেন। পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। শিক্ষা ক্যাডার অন্যান্য ক্যাডারের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করছে।
শিক্ষা ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, এই অধিদপ্তরে যারা কর্মরত আছেন তাঁরা (শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা) সবাই এবং দেশে শিক্ষা ক্যাডারের সমস্ত অফিস-দপ্তরে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তাঁরা বেশ কিছু বৈষম্যের শিকার, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য অন্যতম। ক্যাডার সদস্যদের অনেকেই মামলা বা হয়রানির শিকার, এগুলো নিয়ে যেন একটি সুন্দর সমাধান আসে সেজন্যই এই কর্মবিরতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন’ এর সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা দাবির বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁর কাছে মনে হয়েছে তাঁরাও বেশ আন্তরিক। তাঁরাও চান এর সমাধান হোক। আলোচনা চলমান আছে। তিনি আশা করেন এর সমাধান হবে।
এর আগে, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ফেসবুকে লেখালেখির মতো তুচ্ছ কারণে ২৫ ক্যাডারের ১৩ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ধরনের কাজ প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বৈষম্যপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসন ক্যাডার ২৫ ক্যাডারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রশাসন ক্যাডারের পক্ষপাতপূর্ণভাবে বিভিন্ন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।