
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটের রামপালে বিএনপির প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ২ জন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি শহিদুলের অবস্থা আশংকাজনক।
রামপাল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সব জায়গায় বিএনপির কমিটি গঠনের কাজ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি রামপাল উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নে বিএনপির কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে। তাতে দলের প্রকৃত ত্যাগীরাই নির্বাচিত হয়েছেন।
আর এ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন রামপাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান তুহিনের সমর্থিত লোকজন। তিনি মনে করেন, বিগত ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকার আওয়ামী লীগের দোসরদের সাথে নিয়ে মহড়া ও দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তুহিন। তার আওয়ামী প্রীতির কারণেই দলের প্রকৃত লোকজন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি গঠনে ছিটকে পড়েন তারই লোকজন।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি তার নিজের নেতৃত্বে বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলামসহ তার লোকজনকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি ও হয়রানী করে আসছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তুহিনের নেতৃত্বে তার নিজস্ব বিএনপি ও আওয়ামী দলবল নিয়ে প্রতিপক্ষ জাহিদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে জাহিদের ৯ জন নেতা-কর্মী আহত হন। আহতরা হলেন,শহিদুল, আজমল, আলামিন, বাবু, সাইদুল, মাহিদ, আহম, আশরাফ ও কালাম। এদের মধ্যে আশরাফ ও কালাম রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাকীরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে শহিদুলের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
এদিকে তুহিনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ জাহিদের লোক মাহিদ ও মোহাম্মদের বাড়ীঘর ভাংচুর করা হয়েছে। আর আকোর ঘেরের বাসা ভাংচুর করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। ভাঙ্গা হয়েছে আহম ও আরিফ বিল্লাহর দোকানঘরও।
আপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রামপাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান তুহিন। তিনি বলেন, আমি এসবের কিছুই জানিনা।
রামপাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সেলিম রেজা বলেন, সংঘর্ষের বিষয় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।