Facebook Bio Status

আদালত চত্বরে দুই বিচারপ্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা


গাজীপুরে আদালত প্রাঙ্গণে মারধর করে আইনজীবীদের সামনে থেকে বিচারপ্রার্থী দুই সহোদরকে অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের ছেলে মিলন মিয়া (৭৩) গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন শ্রীপুরের তেলিহাটি এলাকার শহিদুল্লাহর ছেলে এস এম নাজমুল হক (৩৫), এস এম এনামুল হক নাঈম (৩০) এবং একই এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে শহিদুল্লাহ সহিদ (৬০)।

এরআগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুরের জেলা জজ আদালত চত্বরের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় নারী-পুরুষসহ ১৩ আসামিকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে আহত করা হয়। অভিযোগ ওঠে, মামলার বাদী শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার শহীদুল্লাহর ছেলে নাজমুল হকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১ নম্বর আসামি নাজমুল হকের করা মামলায় হাজিরা দিতে মিলন মিয়াসহ ১২ জন আত্মীয়-স্বজন বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আদালতে যান। হাজিরা শেষে আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী সমিতির গেটে পৌঁছালে উল্লেখিত আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা অতর্কিত হামলা চালান। এসময় মিলন মিয়াসহ তার আত্মীয়-স্বজনরা জীবনরক্ষার্থে আইনজীবী সমিতির অফিস কক্ষে আশ্রয় নেন। তখন অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জন সেখানে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।

হামলার একপর্যায়ে দুই বিচারপ্রার্থীকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একটি অটোরিকশাযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাদের আদালতের প্রধান ফটকের সামনে নামিয়ে দিয়ে যান।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিদ্দিক হোসেন জানান, বিচারপ্রার্থী দুই সহোদরকে অপহরণের ঘটনায় বুধবার রাতেই মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আমিনুল ইসলাম/এসআর

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Leave a Reply

Back to top button