আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে শ্রমিক লীগ নেতা


বগুড়ার আলোচিত তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের চার সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আদালত পুলিশের সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিনকে প্রত্যাহার করা হয়।

তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে এবং হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলার নারী হাজতখানায় স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তুফান। এসময় একজন আইনজীবীর সহকারী ছিলেন। সাক্ষাৎকালে দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হইচই পড়ে যায়। পরে তাড়াহুড়ো করে তুফানকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তার পরিবারের সদস্যরা সটকে পড়েন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। দুপুরের মধ্যেই কারাগার থেকে আনা সব হাজতিকে প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। কিন্তু তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ করে দেন জয়নাল আবেদিন।

পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নালকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Exit mobile version