
আজ থেকে শুরু হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের ভর্তি পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে মোট দুই লাখ ৭১ হাজার ২৩৯ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। হিসেব অনুযায়ী প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ৫৫ জন।
গত বছরের মতো এবারও চবি ছাড়াও ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চবির ভর্তি পরীক্ষা।
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ৮৯ জন। এছাড়া কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে এক হাজার ২২১ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭৩ হাজার ১৭১ জন। এই ইউনিটে আসন প্রতি লড়বেন ৬০ জন।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৬৪০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২১ হাজার ৩৯৩ জন। আসন প্রতি লড়বেন ৩৩ জন।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে ৯৮৮ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬০ হাজার ৫২২ জন। এই ইউনিটে আসন প্রতি লড়বেন ৬১ জন ভর্তিচ্ছু। এছাড়া বি-১ উপ-ইউনিটে এক হাজার ৯১১ জন, বি-২ তে তিন হাজার ৬৭০ জন এবং ডি-১ এর জন্য আবেদন করেছে এক হাজার ৪৯১ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শাটল ট্রেনের নতুন সময়সূচি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তথ্যানুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোয় চট্টগ্রাম নগরের বটতলী থেকে সকাল ৭টা, সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৯টা, ১০টা, বেলা ২টা ৫০ মিনিট, বেলা ৩টা ৫০ মিনিট ও রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিট, ৮টা ৪৫ মিনিট, বেলা ১টা ৩০ মিনিট, ২টা ৩০ মিনিট, বিকেল ৪টা, সাড়ে ৫টা ও রাত সাড়ে ৯টায় নগরের বটতলীর উদ্দেশে ট্রেন ছেড়ে যাবে।
নম্বর বণ্টন:
প্রতি ইউনিট/উপ-ইউনিটে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে। তবে এবার ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রতিটি ১ নম্বরের প্রশ্নের ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ এবং প্রতিটি ২ নম্বরের প্রশ্নের ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ কর্তন করা হবে।
এছাড়া ২০২২ সালের মাধ্যমিক বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষা এবং ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা আলিম বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক বা দাখিল বা সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা আলিম বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে (সেকেন্ড টাইমারদের জন্য) তাদের নিজ নিজ সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কোটা ধারী শিক্ষার্থীদেরও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমান অর্থাৎ সর্বনিম্ন ৪০ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে। যা গত বছর ছিল ৩৫ নম্বর।