‘অভ্যন্তরীণ বিরোধে খুন হন নেজাম ও সালেক’

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পিটুনিতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মুখ খুলেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বলেছেন, গণপিটুনির ঘটনায় অনেকে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা বলছেন। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে খুন হন নেজাম ও সালেক।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এসপি সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন তারা সাতটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে সেখানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের অস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন। তারা চাঁদার জন্য নিয়মিত সেখানে যেতেন বলে পুলিশ তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে। চার থেকে পাঁচ দিন আগেও তারা সেখানে গিয়ে এক ইউপি সদস্যের স্ত্রীকে থাপ্পড় মেরেছিলেন। যে কারণে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, সাতকানিয়ায় মারা গেছে নেজাম এবং ছালেক। ছালেকের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে, তার মধ্যে দুটি হত্যা। এ ছাড়া চুরি ও বিস্ফোরক আইনেও মামলা আছে। নেজামের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। তাদের গতিবিধি যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি, বিগত তিন মাসে ওই এলাকায় তারা বিভিন্ন কাজে গিয়েছেন অন্তত ৮ বার। ঘটনার দিন তারা ৭টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে গিয়েছিলেন। ওখানে যারা দোকানদার ছিল তাদের কাছে অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নেজাম ঘটনার দিন অস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি খুন হওয়ার পরে যে অস্ত্রটি পেয়েছি, সেটি সিএমপির কোতোয়ালী থানার লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র। গুলি করতে করতে অস্ত্রের গুলি শেষ হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র কীভাবে তাদের কাছে গেল, বিষয়টি অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। এগুলো আমাদেরকে খুঁজতে হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নিহত নেজাম উদ্দিনের মরদেহের পাশেই পিস্তলটি পাওয়া গেছে। ৯ এমএম মডেলের পিস্তলটি একেবারে অত্যাধুনিক এবং প্রাণঘাতী। তরাস নামে ব্রাজিলে তৈরি পিস্তলটি সেমি অটোমেটিক। এটি থেকে একটানা সর্বোচ্চ ১৭ রাউন্ড পর্যন্ত গুলিবর্ষণ করা যায়। পিস্তলটি নগর পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট এটি লুট হয়ে যায়।