অপারেশন ডেভিল হান্টে সৈয়দপুরে তিন জন গ্রেফতার

অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় সৈয়দপুর থানা পুলিশের অভিযানে ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (২ মার্চ) দিবাগত রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ত্রাণ দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক রানা (৪৫), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ সোহাগ (২৪) ও কামারপুকুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো.খয়রাত হোসেন ওরফে বাহাদুর (৬০)।

 

সূত্র জানায়, গেল বছরের ৪ আগস্ট সৈয়দপুরে ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাত্র জনতার ওপর হামলা, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি অফিসে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। ওই হামলার ঘটনায় মারাত্মক আহত হন উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলীর নুর ইসলাম।

 

 

পরে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ৬৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকশ জনকে আসামি করে সৈয়দপুর সন্ত্রাস ও নাশকতার মামলা করেন তিনি। মামলার পর পুলিশের তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় রবিবার দিবাগত রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে উল্লিখিত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে রানা মামলার ৪৯ নং এজাহারভুক্ত এবং অপর দুজন হোসাইন আহমেদ সোহাগ ও মো. খয়রাত হোসেন তদন্তে পাওয়া সন্দিগ্ধ আসামী।

 

 

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন ও পরিদর্শক (তদন্ত) আকতার হোসেনের নেতৃত্বে থানার অন্যান্য অফিসার ও সঙ্গীয় ফোর্স ওই অভিযানে অংশ নেন। সোমবার (৩ মার্চ) সকালে আসামীদের নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

উল্লেখ্য সে সময় এ সংক্রান্ত দুটি মামলা হয় সৈয়দপুর থানায়। এরমধ্যে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিকুর রহমান বাবলু ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জন এবং বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলীর নুর ইসলাম ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২শ” থেকে ৩শ’ জনের নামে মামলা করেন। ওই দুটি মামলায় এখন পর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

Source link

Exit mobile version